ইতিহাস

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

Taohedul islam রবি, 22 ডিসে., 2024

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর হাতে বাংলাদেশের পতাকার উপরের অংশে লেখা " ইন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর"এটা যেন সবার অন্তরে থাকে সব সময়।
৫০ বছরে সুখী ও শান্তি পুর্ন রাষ্ট্র গঠনে এখনো যা কিছু অজ্বর্ন করতে পারি নাই। তা যেন সামনের ৫০ বছরে দ্রুত অজ্বর্ন করতে পারি। কাশ্মীর কে যেমন ভারত ও পাকিস্তান কাড়াকাড়ি খাচ্ছে বাংলাদেশ কে ও যেন ভারত এবং চীন এমন ভাবে খাওয়ার সাহোস না করে। হে আল্লাহ আপনি এই ভূমি কে সকল ধরনের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করুন। পতাকার উপরের অংশ লেখা আয়াতের অর্থ- নিশ্চয়ই তিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। 

------ ------

লেখকের আরো ব্লগ

ইতিহাস

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

Taohedul islam সোম, 16 ডিসে., 2024

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর হাতে বাংলাদেশের পতাকার উপরের অংশে লেখা " ইন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর"এটা যেন সবার অন্তরে থাকে সব সময়।
৫০ বছরে সুখী ও শান্তি পুর্ন রাষ্ট্র গঠনে এখনো যা কিছু অজ্বর্ন করতে পারি নাই। তা যেন সামনের ৫০ বছরে দ্রুত অজ্বর্ন করতে পারি। কাশ্মীর কে যেমন ভারত ও পাকিস্তান কাড়াকাড়ি খাচ্ছে বাংলাদেশ কে ও যেন ভারত এবং চীন এমন ভাবে খাওয়ার সাহোস না করে। হে আল্লাহ আপনি এই ভূমি কে সকল ধরনের আগ্রাসন থেকে রক্ষা করুন। পতাকার উপরের অংশ লেখা আয়াতের অর্থ- নিশ্চয়ই তিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। 

------ ------

ইতিহাস

টি-টি-পি খারেজীদের অপরাধনামা (২য় পর্ব)

Taohedul islam রবি, 22 ডিসে., 2024

টি-টি-পি খারেজীদের অপরাধনামা (২য় পর্ব)

আগের পর্বে ওসাইকু আবাতাবাদ বা অ্যাবোটাবাদ ডকুমেন্টের ১৯ পৃষ্ঠা থেকে ২১ পর্যন্ত আমরা অনুবাদ করেছি। আ=দম ইয়াহ-ইয়া গাদন বা আ-জ্জাম আল-আ-মরিকির আলোচনা আরও লম্বা। পূর্বের আলোচনার পর থেকে আমরা নিচে অনুবাদ উল্লেখ করছি।

কা=য়দার সিনিয়র নেতা আ=জ্জা=ম আল=আমরিকি লিখেছেন,

৮। দক্ষিণ ওয়া-জি-রিস্তানের ওয়ানা নামক এলাকায় মৌলভী নূর মুহাম্মাদের মসজিদে রমাদানের মাঝামাঝি সময়ে বিস্ফোরণ ঘটান হয়। এতে মৌলভী নূর মুহাম্মাদ ও প্রায় ৩০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়। তারা সেসময় মসজিদের কুরআন তেলাওয়াত করছিল। উজবেক জি-হা-দী গ্রুপ এবং হা-কী-মুল্লাহ মাহ-সুদকে এই আক্রমণের জন্য দায়ী করা হয়।

এরপর ডারা আদম খেলের এক মসজিদের জুময়ার নামাজ চলাকালে বিস্ফো-রণ ঘটান হয়। এতে ৭০ জন নিহত ও অসংখ্য আহত হয়। তা-রিক আফ্রিদিকে এই আক্রমণের জন্য দায়ী করা হয়। আক্রমণের উদ্দেশ্য হয় সেখানকার কিছু গোত্রীয় নেতাদেরকে আক্রমণ করা যারা তথাকথিত আমিরুল মু'মীনিন তারিক আফ্রিদির বিরোধী ছিলো, অথবা তা=লি=বানের কিছু অংশ যারা তা-রিক আফ্রিদির প্রতিপক্ষ ছিলো, তারা সেখানে নামাজ আদায় করছিল।কারণ, এই দুই দলের মধ্যে লম্বা সময় ধরে অপহরণ, ছিনতাই ইত্যাদি চলে আসছিল। তা-রিক আফ্রিদির গ্রুপ এই আক্রমণ চালিয়েছে। অন্য দিকে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপ যার নেতা ছিলো মু'মিন আ-ফ্রিদি তার সাথে ওজি-রিস্তা-নের তা-লি-বানদের সাথে সুসম্পর্কের কথা শোনা যায়। এমনকি সে বর্তমানে ওজি-রিস্তানে অবস্থান করছে। সর্বশেষ এই তথ্যগুলো মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকা থেকে নেয়া। এগুলোর সত্যতার বিষয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিৎ নই। তবে তে-হ-রিকে তা-লি-বানের (টি-টি-পি) এর চরিত্রের কালো অধ্যায় সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি, তাতে এগুলো তাদের থেকে হওয়াটা মোটেও অসম্ভব কিছু নয়। কারণ তাদের একটা ন্যাক্কারজনক কাজ আরেকটাকে সত্যায়ন করে। তাছাড়া তাদের বিষয়ে অবগত সাংবাদিক যেমন র-হি-মুল্লাহ ই-উসুফ জাই এর মতো লোকেরাও তাদের ব্যাপারে এগুলো লিখেছে। ওই দিনই আবার ইশার নামাজের সময় পেশোয়ারের এক মসজিদের বো-মা ফাটান হয়। এর উদ্দেশ্য যা বোঝা যায়, টি-টি-পি বিরোধী কোন গোত্রীয় নেতা, অথবা পুলিশের কোন কর্মকর্তার পরিবার। এতে পাঁচজন নিহত হয়। এর মধ্যে ওই মসজিদের আ-ফ-গানী ইমাম ছিলো। অসংখ্য আহত হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: তা-রি-ক আ-ফ্রিদি ও ও-লী-উর রহমান মা-হসুদের পক্ষ থেকে ডারা আদ-ম খা-য়েলের আক্রমণের পর সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা দু'জনই এই আক্রমণের সাথে টি-টি-পির সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে। তারা ব্লা-ক ওয়া-টারকে এই আক্রমণের জন্য দায়ী করে। তারা ধারণা করেছে, সাংবাদিকদের সাথে তা-রি-ক আফ্রিদির যেই কথোপকথন হয়েছে এবং তার পক্ষ থেকে যেই দায় স্বীকার করা হয়েছে এটা আসলে সঠিক নয়। এটা বানান - জাল। অথচ হাস্যকর বিষয় হলো, তা-রি-ক আ-ফ্রিদির পক্ষ থেকে এর আগে সাংবাদিকদের সাথে দায় স্বীকার করার বিষয়ে কোন কথাই হয়নি। হয়ত আগে তার ফোন বন্ধ ছিলো অথবা সে ওলীউর রহমানের চেয়ে ফোন ব্যবহারে বেশি পারদর্শী ছিলো। ( বিষয়টা বাংলা প্রবাদ ঠাকুর ঘরে কে? আমি কলা খাই না এর মতো হয়ে গেছে। কারণ, আগে দায় স্বীকার করে আসলে কোন বক্তব্যই দেয়া হয়নি। তারা সংবাদিক সম্মেলন করে বলছে, আগে দায় স্বীকার করে যেই বক্তব্য দেয়া হয়েছে সেটা জাল। যেই বক্তব্য দেয়াই হয়নি, সেটা আবার জাল হয় কী করে? )

উল্লেখ্য, এরকমই আরেকটি হাস্যকর বিষয় হলো, আ-জ-ম তারিক সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকারে দাবী করেছে যে, নিউ ওয়ার্ক টাইমসে বো-মা আক্রমণের চেষ্টাকারী ফয়-সাল শা-হজাদের সাথে টি-টি-পির কোন সম্পর্ক নেই। অথচ পরে তাদের টি-টি-পির ওমর স্টুডিও থেকে ভিডিও পাবলিশ করা হয়, যেখানে ও-ম-র শা-হজ-াদের ভিডিও তারা প্রকাশ করে। এই ঘটনার পর আ-জ-ম তারিখের বিবৃতি কে বিশ্বাস করবে?

এখানে বলে রাখা ভালো, উম্মত স্টুডিও যেটি সম্ভবত: উ-জ-বেক মু-জা-হিদীন গ্রুপের মিডিয়া উইং, বছর খানিক আগে তারা সেখান থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেখানে তারা নির্লজ্জভাবে ওয়াদা করে যে, তারা লাল মসজিদ ও সীমান্ত এলাকার কিছু মসজিদ ধ্বংসের প্রতিশোধ হিসেবে অন্যান্য মসজিদ বো-মা মেরে উড়িয়ে দিবে। ড-ারা আদ-ম খায়েল, কো-হাট, ওরকজায়, মোহামান্দসহ আশে-পাশের এলাকায় তাদের বিভিন্ন ট্রেনিং ও যু-দ্ধের ভিডিও ছিলো এতে। একইভাবে তারা সাং-বাদিকদের হত্যার হুমকি দেয়। আল-জেজিরা ইংলিশের এক প্রতিনিধি সংবাদিকের ছবিও তারা প্রকাশ করে। অথচ এই সংবাদিক বাজারে ও জনসমাগমে হামলায় তে-হ-রিকে তা-লিব-ানের সম্পৃক্ততা নাকচ করেছে।অন্যদিকে অন্যরা টি-টি-পিকে দায়ী করেছে। তার এই অবস্থান সত্ত্বেও এই ফাসেকদের কাছে সে কোন অনুকম্পা পায়নি।


এই আলোচনা আমি দু'টি ঘটনা দিয়ে শেষ করতে চাই। এই দু'টি ঘটনা থেকে স্পষ্ট হবে কী ভয়ঙ্কর চিন্তা-দর্শন ও কী পরিমাণ অজ্ঞতা এসব জা-মা-য়াতের মধ্যে ছড়িয়ে আছে।

প্রথম ঘটনা: এক বছরের বেশি সময় ধরে পা-কি-স্তানের মসজিদে মসজিদে বো-মা হামলার বিষয়ে এক মুহ-াজির আরবের ছেলের সাথে আমার কথা চলছিল। আমি তাকে বললাম, এভাবে মসজিদে আক্রমণ করা জায়েজ নয়। আর কা=য়-দার শীর্ষ নেতা ও তালিবুল ইলমরা এটা সমর্থন করে না। তারা এর থেকে মানুষকে নিষেধ করে। এমনকি মসজিদ যদি কোন সেনা-ব-াহিনীর ব্যারাকে অথবা কোন প্রশাসনিক এলাকাতেও হয়। এবিষয়ে তারা বিভিন্ন বিবৃতিও দিয়েছে। এমনকি শা-য়খ ঈসার কাছ থেকে আমি নিজ কানে শুনেছি, তিনি পা-কি-স্তানের শিয়া মসজিদে আক্রমণ করাকে জায়েজ বলেন না। যদিও তিনি পা-কিস্তানের অন্য আলিমদের মতো শিয়াদেরকে কাফের বলেন। [ উল্লেখ্য, এখানে কিছু ব্যতিক্রমও আছে। শা-য়-খ ঈসা ঈদের নামাজের সময় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হ-ত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। আমি এটাও শুনেছি যে, রা-ও-য়াল পিন্ডির পুলিশ ফাঁড়ির মসজিদে হা-মলা করেছিল কা=য়-দা। এই মসজিদের প্রবেশের জন্য আইডি কার্ড দেখাতে হতো। দেশের অন্য মসজিদের মতো উন্মুক্ত ছিলো না। ]

এই যুবক, আমার এসব কথায় সন্তুষ্ট হলো না। সে পাল্টা যুক্তি দিলো, দেশের অধিকাংশ মসজিদ অথবা সকল মসজিদ মূলত: মসজিদে দিরার। এগুলো সব সরকারি কর্মকর্তা, গোয়েন্দা ও প্রসাসনিক লোক দিয়ে ভরা। এসব মসজিদের কোন পবিত্রতা নেই। তার এই বক্তব্য মূলত: তাফসীরে জিলালুল কুরআনে সাইয়্যেদ কুতুবের একটি বক্তব্যের আলোকে। আর এই বক্তব্যটি তাকে তার পিতা শুনিয়েছে। আমি তাকে বললাম, আচ্ছা, ভালো। তোমরা যখন এসব মসজিদকে মসজিদে দিরার মনে করছো, তাহলে এগুলোকে তোমরা ধ্বংস করো। তবে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরণ ঘটিও না। এভাবেই তার সাথে আমার কথোপকথন শেষ হয়। আমি জানি না, সে আমার কথা মেনে নিয়েছে কি না।

[চলবে ....]
 

------ ------